বশির আল মামুন, চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :::
শাহ আমানত আন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মানবপাচারে ইমিগ্রেশন বিভাগের জড়িত থাকার অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ সদর দপ্তর। এজন্য চট্টগ্রামে এসেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (বিশেষ শাখা) আলমগীর আলম।আজ শনিবার ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর আলম। এসময় র্যাব গত ১২ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে যে ৩৯ জনকে পাচারের আগে উদ্ধার করেছিল তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি।
এরপর আলমগীর আলম চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখায় গিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের সহযোগিতায় সন্দেহ জনক ভিসায় ৭৫ জনকে দুবাই পাঠানোর বিষয়ে ইমিগ্রেশন শাখার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন অতিরিক্ত ডিআইজি। এছাড়া বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (বিশেষ শাখা) আলমগীর আলম বিডি সংবাদকে বলেন, ইমিগ্রেশন নিয়ে কিছু কথা বার্তা উঠেছে। কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। পত্র পত্রিকায় খবর এসেছে, তারা নাকি ৭৫ জনকে পাচার করেছে। মানবপাচারে পুলিশ জড়িত থাকবে, এটা তো গুরুতর অভিযোগ। আসলে বিষয়গুলো সত্য কিনা সেটা একটু জানতে এসেছি। আসলেই কি পুলিশ সম্পৃক্ত কিনা সেটা আমরা একটু খতিয়ে দেখছি।
‘আমি র্যাবের সিও সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। যাদের পাচার করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলব। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলব।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বিডি সংবাদকে বলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি সাহেব আমার কাছে এসেছিলেন। অনেক বিষয়েই কথা বলেছেন। কিন্তু কি বিষয়ে কথা হয়েছে সেটি আমি প্রকাশ করতে চাই না।
সূত্রমতে, আকস্মিক ভাবেই শনিবার অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর আলম চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান। প্রথমেই তিনি র্যাব-৭ এর অধিনায়কের কাছে যান। র্যাব যাদের উদ্ধার করেছে তাদের ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাইবাছাই করেছেন আলমগীর আলম। ইমিগ্রেশনের মতো নিরাপত্তার জন্য স্পর্শকাতর জায়গায় র্যাব কিভাবে প্রবেশ করে ৩৯ জনকে উদ্ধার করল সেই বিষয়টিও তিনি খতিয়ে দেখছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব এবং পুলিশের মধ্যে দ্বন্দের যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে, সেই দ্বন্দ্ব থেকেই ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্বে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর একজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি (বিশেষ শাখা) আলমগীর আলম বলেন, র্যাব যে ৩৯ জনকে ধরেছে এর মধ্যে ২১ জনকে নিয়ে তো কোন অভিযোগ নেই। ১৯ জন ইমিগ্রেশন পার হয়েছিল। তাদের বিষয়ে আমি র্যাবের কাছে তথ্য চেয়েছি।
পাঠকের মতামত: